ওমান প্রবাসী যুবক রকিকে বিমানবন্দর থেকে নিতে পরিবারের সদস্য ও শ্বশুড় বাড়ির সদস্যরা আসেন। প্রবাস ফেরত ছেলেকে নিয়ে দুইপক্ষের টানাটানি, পুলিশের হস্তক্ষেপ। সবশেষে টাকার জোরে শ্বশুরের জয়। এখন অসহায় বাবা আর বোনের সম্বল শুধু কান্না।

এ যেন এক থ্রিলারের মঞ্চায়ন। জানা গেছে, ওমান প্রবাসী রকি। বাড়ি কুমিল্লায়। দুই বছর আগে ভালোবেসে রীনা আক্তারকে বিয়ের পর ফের চলে যান ওমানে। গত মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নামার পরই নাটকীয় ঘটনার সূত্রপাত। রকিকে নিয়ে শুরু হয় বাবা আর শ্বশুর বাড়ির লোকদের টানাটানি। বাবার বাড়ি নাকি শ্বশুর বাড়ি, কোথায় যাবেন রকি? এ দ্বন্দ্ব গড়ায় পুলিশ পর্যন্ত। উভয়পক্ষই যান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায়। সেখানেই রকি সিদ্ধান্ত জানান,

শ্বশুর বাড়িতেই যাবেন তিনি। স্ত্রী রীনাও যেতে চান না রকিদের ঘরে। এমন সিদ্ধান্তের পর তৈরি হয় আরেক দৃশ্যপট। এবার ছেলের সামনে দাঁড়ান অসহায় বাবা। অবাধ্য সন্তানকে বিদেশ পাঠাতে গিয়ে মেয়ের কাছ থেকে ধার নেয়া টাকা ফেরত চান।

প্রবাসী রকির বাবা আবদুল মান্নান বলেন, ছেলে বিদেশে যাওয়ার সময় টাকা পয়সা আমি দিছি এখন ছেলে বাপ চেনে না, মা চেনে না, ভাই চেনে না, কাউকেই চেনে না। একমাত্র সে কাকে বিয়ে করেছে তাকেই চেনে সে। আমরা ওকে গাড়ি নিয়ে এসেছি নিতে, ও আমাদের সঙ্গে যাবে না, শ্বশুরবাড়ি যাবে। ও আমাদের চিনে না। বাপ, মা ভাই-বোন চিনে না।